সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার নিয়ম - সিটি ব্যাংক থেকে মোটরসাইকেল লোন নেওয়ার নিয়ম

আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হবে সিটি ব্যাংক বাইক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। সিটি ব্যাংক বাইক লোন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে পোস্টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।


সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার নিয়ম


সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার কিছু টপিক নিচে দেওয়া হলো 


সিটি ব্যাংক বাইক লোন পাওয়ার যোগ্যতা


সিটি ব্যাংক বাইক লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র 


সিটি ব্যাংক বাইক লোন ইন্টারেস্ট রেট 


সিটি ব্যাংক বাইক লোনের পরিমাণ 


সিটি ব্যাংক বাইক লোনের জন্য আবেদনের নিয়ম



সিটি ব্যাংক বাইক লোন পাওয়ার যোগ্যতা


সিটি ব্যাংক মোটরসাইকেল লোন এর প্রথম শর্ত হচ্ছে আপনাকে বাংলাদেশি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক হতে হবে এবং মোটরযান চালানোর লাইসেন্স থাকতে হবে।


চাকরিজীবী, আত্মনির্ভরশীল, ব্যবসায়ী, প্রবাসী, জমির মালিক, ফিনান্সিয়ার ও রাইড শেয়ারিং সার্ভিস ইত্যাদি পেশার সাথে জড়িত এমন যে কেউ দ্যা সিটি ব্যাংক বাইক লোন এর জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

আপনার যদি এই চাকরিজীবী হয়ে থাকেন এবং আপনার সেলারি একাউন্ট পে হয়ে থাকে তবে আপনার মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা এবং ক্যাশে বা নগদে হয়ে থাকলে সর্বনিম্ন বিশ হাজার টাকা হতে হবে তবে সিটি ব্যাংকের স্টাফ হয়ে থাকলে ১২ হাজার টাকা হলেই হবে।

আর আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী বা জমির মালিক কিংবা প্রফেশনাল (উকিল, সাংবাদিক, ফার্মাসিস্ট) ইত্যাদি হয়ে থাকলে সিটি ব্যাংক বাইক লোন এর জন্য আপনার সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা মাসিক আয় থাকতে হবে।


এছাড়া ফ্রিল্যান্সার, প্রবাসী ও রাইড শেয়ারিং এর সাথে জড়িত থাকলে যথাক্রমে ৩০ হাজার, বিশ হাজার, পনের হাজার টাকা সর্বনিম্ন মাসিক আয় থাকতে হবে।


তবে আপনার ফিক্স ডিপোজিটের বিপরিতেও লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।



সিটি ব্যাংক বাইক লোনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র


বিগত ১২ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, 


সেলারি সার্টিফিকেট, 


বৈধ ড্রাইভিং, 


লাইসেন্সের কপি, 


ভোটার আইডি কার্ডের কপি, 


ভিজিটিং কার্ড, 


ল্যাব প্রিন্ট পাসপোর্ট সাইজের ছবি, 


রি পেমেন্ট চেক ( যে চেকে লোনের সম্পূর্ণ টাকা ইন্টারেস্ট থাকে) ব্যক্তিগত গ্যারান্টারের আইডি কার্ডের কপি এবং ছবি।


সিটি ব্যাংক বাইক লোন ইন্টারেস্ট রেট


তবে সিটি ব্যাংক বাইক লোন এর কমন সুদের হার ১২.৯৯ পার্সেন্ট হয়ে থাকে।


মেয়েদের জন্য বাইক লোনের ইন্টারেস্ট রেট এক পার্সেন্ট কম অর্থাৎ ১১.৯৯%।


রাইড শেয়ারিং পার্টনার ৯.৯৯ পার্সেন্ট।


সিটি ব্যাংক স্টাফ ৪.৯৪ পার্সেন্ট।


এবং ইয়ামাহা হোন্ডা ও বাজাজ কোম্পানি কাস্টমারদের জন্য সিটি ব্যাংক লোনের সুদের হার ১১.৯৯%।



সিটি ব্যাংক বাইক লোনের পরিমান


বাইক লোনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা।


তবে সিটি ব্যাংক বাইক কেনা ও রেজিস্ট্রেশন এর খরচ সহ মোট খরচের সর্বোচ্চ শতকরা আশি পার্সেন্ট পর্যন্ত লোন প্রদান করে।


অর্থাৎ বাইক বা মোটরসাইকেল কেনা ও রেজিস্ট্রেশন এর খরচ যদি আপনার এক লক্ষ টাকা হয় তাহলে আপনি সিটি ব্যাংক থেকে বাইক লোনের জন্য ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেন।

তবে মেয়েদের জন্য বা সিটি ব্যাংকে যারা কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন তাদের জন্য ১০০ ভাগ লোন সুবিধা প্রদান করে।


এফডিআর বা ফিক্স ডিপোজিট এর বিপরীতে ৯৫ পার্সোনাল লোন নেওয়া যায়।


উল্লেখিত সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার পর ৬ থেকে ৩৫ মাসে কিস্তি  দিয়ে এই লোন পরিশোধ করতে পারবেন।



সিটি ব্যাংক বাইক লোনের জন্য আবেদনের নিয়ম


সিটি ব্যাংক বাইক লোন এর জন্য উল্লেখিত প্রয়োজনীয় যে সব কাগজপত্র কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা আপনার নিকটস্থ সিটি ব্যাংক শাখার লোন অফিসার এর সাথে যোগাযোগ করে নিবেন।


কিছু কমন প্রশ্ন ও উত্তর


সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার জন্য নূন্যতম কত মাসিক আয় থাকা দরকার?


সিটি ব্যাংক থেকে বাইক কেনার জন্য লোন পেতে অ্যাকাউন্টে স্যালারি পেলে নিম্নতম ১৫ হাজার টাকা, নগদ বা ক্যাশে পেলে ১৫ হাজার টাকা ও সিটি ব্যাংক স্টাফদের জন্য নৃন্যতম স্যালারি ১২ হাজার টাকা বেতন বা সেলারি হতে হবে।


বাইক কেনার জন্য সর্বোচ্চ কত টাকা লোন প্রদান করে থাকে?


সিটি ব্যাংক বাইক মোটরসাইকেল কেনার জন্য বাইকের মোট মূল্যের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ অর্থ প্রদান করে থাকে লোনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা।

বাইক লোন ছাড়াও সিটি ব্যাংক আরো অন্যান্য লোন যেমন পার্সোনাল লোন, হোম লোন ইত্যাদি প্রদান করে থাকে। 

সিটি ব্যাংকের অন্যান্য লোন ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য নিচের পোস্টটি দেখতে পারেন। আশা করি কিভাবে সিটি ব্যাংক থেকে বাইক লোন নিতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন