সম্প্রতি বিকাশ দেশের প্রথম ডিজিটাল ঋণ বিতরণ সেবা নামে একটি সেবা চালু করেছে। বিকাশ ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে এই সেবাটি প্রদান করে আসছে। শুরুতে এর আওতায় সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ডিজিটাল লোন পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে ঋনের পরিমাণ সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
আর এই বিকাশ লোন দেওয়া হয় সিটি ব্যাংকের অধীনে বেসরকারি ব্যাংকের জামানতবিহীন বিকাশ একাউন্টে পাওয়া যাবে তাৎক্ষণিকভাবে আপনারা কিভাবে বিকাশ থেকে জামানতবিহীন ঋণ নেওয়া যায়।
তার বিস্তারিত না জানেন তাহলে এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে আপনারা বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি বুঝে যাবেন।
এক নজরে এই পোস্টটের মেইন কপি গুলো
- কত টাকা বিকাশ লোন পাওয়া যাবে?
- বিকাশ ঋনে কত শতাংশ সুদ প্রদান করতে হবে?
- বিকাশ লোন পরিশোধের নিয়ম কি?
- বিকাশ ডিজিটাল ঋণ গ্রহণের শর্তসমূহ কি?
- কারা বিকাশের ঋণ পাবেন?
- বিকাশ ডিজিটাল লোন কিভাবে পাবো?
কত টাকা বিকাশ লোন পাওয়া যাবে?
বর্তমানে কমপক্ষে ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হবে বিকাশের ডিজিটাল সুবিধার আওতায়। তবে ভবিষ্যতে এই অংক আরো বাড়ানো হতে পারে।
বিকাশ ঋন এ কত শতাংশ সুদ প্রদান করতে হবে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়ার নিয়ম মেনে ৯ শতাংশ হারে ও সুদের বিনিময়ে পাওয়া যাবে এই বিকাশ ডিজিটাল ঋন। অর্থাৎ আপনি যদি বিকাশ থেকে লোন নেন তাহলে বাসর ৯ শতাংশ সুদ প্রযোজ্য হবে।
বিকাশ লোন পরিশোধের নিয়ম কি?
ঋণ নেওয়ার পর পরবর্তী তিন মাসে কি পরিমাণ অর্থ তিন কিস্তিতে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্ট থেকে নির্ধারিত তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষদ হয়ে যাবে।
পরিষদের তারিখের আগে গ্রাহক এসএমএস এবং অ্যাপ এর মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন পাবেন। ঋণগ্রহণকারী গহন ঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করছে কিনা, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে পরবর্তী দিন প্রধান বিবেচ্য হবে।
বিকাশ ডিজিটাল ঋণ গ্রহণের শর্তসমূহ কি?
সিটি ব্যাংক ও বিকাশের ডিজিটাল সেবা সবচেয়ে সুবিধাজনক ব্যাপার হলো উপযুক্ত বিকাশ গ্রাহক এক বিকাশ অ্যাপ থেকে যেকোনো সময় যেকোনো স্থানে বসে ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন।
বিকাশের উপযুক্ত গ্রাহকগণ কোন জামানত ছাড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। তবে শুধুমাত্র পাবেন সবাই এই মুহূর্তে লোন পেতে পারে।
বিকাশ ডিজিটাল লোন কিভাবে পাব?
বর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে চালিত হচ্ছে এই ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম অর্থাৎ সকল বিকাশ ব্যবহারকারী তাদের বিকাশ অ্যাপ অপশন দেখতে পাবেন। কিন্তু সবাই লোন পাবেন না। বিকাশ ও সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে লোনের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন।
গ্রাহকরা তাদের বিকাশ অ্যাপ লোন অপশন দেখতে পাবেন। ঋণ নিতে গ্রাহকের তারিখে কেওআইসি ফর্মে বিকাশকে দেয়া তথ্য সিটি ব্যাংকে দেয়ার সম্মতি দিতে হবে।
এরপর ঋণের পরিমাণ এবং নিজের পিন দিয়ে সাথে সাথে বিকাশ একাউন্টে ডিজিটাল ঋনের টাকা পেয়ে যাবেন। এই ঋণের সঙ্গে প্রয়োজ্য সুদ ও অন্যান্য বিধিবিধান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিপালিত হবে।
কারা বিকাশ ঋণ পাবেন?
আগে যেমনটি বলছি আপাতত নির্বাচিত বিকাশ গ্রাহকগণই ৫০০ থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। আপনি বিকাশ লোন পাবেন কিনা তা আপনার উপর নির্ভর করবে আপনার তথ্য বিকাশ এবং আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে দেখবে।
যদি তারা মনে করে যে আপনি লোন পাওয়ার উপযুক্ত তাহলে আপনার বিকাশ অ্যাপে এই লোন নেওয়ার অপশন থেকে লোন নিতে পারবেন।
কিভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনি লোন পাওয়ার উপযুক্ত কিনা?
আপনি আপনার বিকাশ অ্যাপ এর লোন অপশনে ক্লিক করুন ক্লিক করার পর যদি আপনি উপযুক্ত হন তাহলে আপনি লোন নেওয়ার ধাপগুলো দেখতে পারবেন।
আর আপনি যদি লোন নেওয়ার উপযুক্ত না হন তাহলে আপনি বিকাশে ফেলুন ক্লিক করার পরে সেখানে লেখা উঠবে আপনি লোন নিতে পারবেন না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন