বাংলাদেশ অনেকেই আছেন যারা কিনা সোনালী ব্যাংকের ডিপিএস অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে চান। আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা কিনা সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট আছে তাদের কাছে সোনালী ব্যাংক ডিপিএস সম্পর্কে যেন খুবই দরকার। ডিপিএস বলতে মূলত বুঝায় আমরা কিছু টাকা লাভের আশায় বিভিন্ন ব্যাংকের কিছু টাকা সঞ্চয় করে রাখে এবং কিছু বছরের জন্য সেই টাকাটা জমা রেখে লাভের পর সেটাকে আমরা ডিপিএস হিসেবে পরিচিত হই। আজকে আমাদের এই পোস্টে আপনাদেরকে দেখাব ডিপিএস খুলতে কি কি প্রয়োজন কি কি লাগে এবং কত টাকা লাগে সে সম্পর্কে সমস্ত বিস্তারিত তথ্য জানাবো।
আজকে এই পোস্টের মেইন টপিক গুলো হচ্ছে:
- সোনালী ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট এর সুবিধা
- সোনালী ব্যাংক ডিপিএস সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট খোলা যে সমস্ত ডকুমেন্ট দরকার
- সোনালী ব্যাংক ডিপিএস অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিশেষ কিছু নির্দেশনা
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস একাউন্টের সুবিধা:
বাংলাদেশ অন্যান্য ব্যাংক একাউন্ট ডিপিএস সিস্টেম এর মত সোনালী ব্যাংক ডিপিএস অ্যাকাউন্ট সর্বাধিক সুবিধা এবং লাভের পরিমাণ রয়েছে। আপনি যদি সোনালী ব্যাংক থেকে ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করতে চান, তাহলে আপনে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাবেন সেগুলো সম্পর্কে নিচে দেওয়া হলো
- সোনালী ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহারে ডিপিএস একাউন্ট এর চেয়ে ঝামেলা খুবিই কম
- সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস এর সুদ এবং মুনাফার হার বেশি
- সোনালী ব্যাংকে যারা সুদবিহীন ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করতে চান তাদের জন্য রয়েছে ইসলামিক পরিবেশে সুদবিহীন ডিপিএস একাউন্ট তৈরির সুযোগ সুবিধা
- সোনালী ব্যাংকে আপনে ইচ্ছে মতো ঘনঘন লেনদেন করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনার কোনো রকম সমস্যা হবে না আপনে ইচ্ছে মতো লেনদেন করতে পারছেন
- আপনে চাইলে সোনালী ব্যাংক থেকে ৭০-৮০% ঋন কিংবা টাকা বা অর্থ গ্রহন করতে পারবেন
- সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আপনে কোনো রকমের ঝামেলায় পড়তে হবে না। আপনে চাইলে ঘরে বসে মোবাইল ব্যাংকির এর মাধ্যমে টাকা জমা করতে পারবেন।
- সোনালী ব্যাংকে আপনার টাকা জমাকৃত টাকার মেয়াদ যদি শেষ হয়েও যায় তাহলে আপনি ওই টাকা তুলতে যদি দেরিও করেন পরবর্তীতে ওই টাকা সমান মুনাফা বাড়তে থাকবে
সোনালী ব্যাংকে এসব সুবিধা সমূহ ছাড়া আরো অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে যা আপনে তৈরি করার পর ব্যাংকের এজেন্টের কাছ থেকে জেনে নিতে পারবেন।
সোনালী ব্যাংক ডিপিএস সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
সোনালী ব্যাংকে যারা ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করতে চান তাদের কিছু তথ্য জানা দরকার। সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট যে কোনো গ্রাহক খুলতে পারবেন এবং গ্রাহক তার নিজের মতো করে সময়সীমা নির্ধারণ করে ডিপিএস একাউন্ট চালাতে পারবেন।
- আপনে সোনালী ব্যাংকে একাউন্ট তৈরি করা পর আপনি প্রতি মাসে কত টাকা জমা রাখতে চান সেটা আপনে নিজে নির্ধারণ করে রাখতে পারবেন। শুধু তাই না এ ব্যাংকে ডিপিএস আপনে কত বছরে রাখবেন সেটি আপনে নিজে নির্ধারণ করতে পারবেন
- সোনালি ব্যাংক আপনে যে কোনো নির্ধারিত সময় যদি টাকা তুলতে না পারেন তাতে কোনো সমস্যা নাই বরং এই টাকা আপনে আরও যত দিন টাকা রাখবেন তত দিন আপনে মুনাফা পাবেন
সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট খোলার জন্য যে সব ডকুমেন্টস দরকার:
আপনে যদি সোনালী ব্যাংক থেকে ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে যে সব ডকুমেন্টস ব্যাংকে জমা দিতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
- সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে একটি আবেদন ফরম নিতে হবে সোনালী ব্যাংক থেকে
- সোনালী ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট খোলার জন্য আপনার এক কপি ছবি এবং এর নির্দিষ্ট কিছু টাকা জমা দিতে হবে
- এ ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট খোলার জন্য আপনার এক বছরের ব্যক্তি গত ব্যাংকের হিসাব বিবরণী তাতের সামনে তুলে ধরতে হবে
- ব্যবসায়ীরা যদি সোনালী ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করতে চায়, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে গত ৩ বছরের ট্রেড লাইসেন্স ব্যাংকে জমা দিতে হবে
- এছাড়া যে ব্যক্তি ডিপিএস একাউন্ট খুলবেন তার পরিবারে যে কোনো একজনের ১ কপি নমিনির ছবি এবং তার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটো কপি জমা দিতে হবে
উপরে উল্লেখীত ডকুমেন্টস আপনি যখন সোনালী ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে জমা দিবেন তখন তারা আপনার একাউন্ট তৈরি করা শুরু করবে।
সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট সম্পর্কে যে সব বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে:
বলে রাখা ভালো আপনে যদি সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনে যদি টিন - সার্টিফিকেট নম্বর ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার সোনালী ব্যাংকে ডিপিএস একাউন্টের যে মুনাফা আসবে সেই মুনাফার হারের উপরে ১৫% আয় কর ধার্য করা হতে পারে।
নিচে আরো কিছু উল্লেখ করা হলোঃ
- বিশেষ করে মূলত এ আয়করের পরিমান থেকে আপনার জমাকৃত অর্থের মধ্যে থেকে কোনো রকমের অর্থ খরব হবে না
- তবে এ আয় করের পরিমান আপনার একাউন্টে যে টাকা প্রতিবছর লাভ হবে সেই অর্থ থেকে কিছু মুনাফা কাটা হবে।
অর্থাৎ সোনালী ব্যাংক ডিপিএস একাউন্ট থেকে জমাকৃত অর্থে আপনি যে টাকা লাভ পাবেন সেই টাকা থেকে আপনার ১৫% চার্জ কেটে নেওয়া হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন