ডিপিএস শব্দটির মাধ্যমে একজন গ্রাহক চাইলে একটি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা জমা প্রদানের মাধ্যমে মেয়াদ শেষে প্রচুর টাকা পেতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক ডিপিএস এর সুবিধা দিয়ে থাকে সেইসব ব্যাংকের মধ্যে পূবালী ব্যাংক রয়েছে। পূবালী ব্যাংকের এ রকম অনেক গ্রাহক রয়েছে যারা কি না পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা জমাতে চায় এবং পূবালী ব্যাংকের ডিপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়।
আর আপনে যদি পূবালী ব্যাংক ডিপিএস ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে আজকে এই পোস্টি আপনার জন্য। এই পোস্টি মূলত আলোচনা করা হবে পূবালী ব্যাংক ডিপিএস কিছু সম্পর্কে এবং আপনে কিভাবে ডিপিএস একাউন্ট তৈরি করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এক নজরে এই পোস্টের মেইন টপিকগুলো
- পূবালী ব্যাংক ডিপিএস এর প্রকারভেদ
- পূবালী ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন প্রকল্প
- পূবালী ব্যাংক সঞ্চয় প্রকল্প
- পূবালী ব্যাংক শিক্ষা সঞ্চয় প্রকল্প
পূবালী ব্যাংক ডিপিএস এর প্রকারভেদ
পূবালী ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য তিনটি ডিপিএস সুবিধা প্রদান করেছে এই তিনটি অসুবিধার মধ্যে থেকে একজন গ্রাহক চাইলে যেকোনো একটি খুলতে পারে এবং সে সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারে। আপনারা যারা পূবালী ব্যাংকে ডিপিএস করতে চাচ্ছেন তারা তিন রকমের ডিপিএস এর মধ্যে যেকোনো একটি খুলতে পারবেন।
আর সেই তিন রকমের ডিপিএস অ্যাকাউন্ট গুলো হলোঃ
- পূবালী ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন প্রকল্প
- পূবালী ব্যাংক সঞ্চয় প্রকল্প
- পূবালী ব্যাংক শিক্ষা সঞ্চয় প্রকল্প
উল্লেখিত তিনটি প্রকারভেদ এর মধ্যে আপনি চাইলে পূবালী ব্যাংকের ডিপোজিট একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
পূবালী ব্যাংক ডিপোজিট পেনশন প্রকল্প
আপনাদের মাঝে যারা পেনশনভোগী ব্যক্তি রয়েছেন তাদের জন্যই মূলত এই অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে।
এই একাউন্টের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি চাইলে তিন বছর মেয়াদী ৫ বছর মেয়াদী, ৭ বছর মেয়াদী, ১০ বছর মেয়াদী এবং ১২ বছর মেয়াদের জন্য ডিপিএস অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারেন।
এই একাউন্টে সবথেকে বড় সুবিধা হলো একজন ব্যাক্তি যদি চায় তাহলে সেই সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত জমা রাখতে পারেন।
এই অ্যাকাউন্টের জন্য সুদের হার সর্বোচ্চ ১২% করে দেওয়া হয়েছে এবং এটি পরবর্তীতে যেকোনো সময় পরিবর্তন করা হতে পারে।
পূবালী ব্যাংক সঞ্চয় প্রকল্প
এছাড়াও পূবালী ব্যাংক সঞ্চয় প্রকল্প নামের যে ডিপিএস অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই একাউন্টের মাধ্যমে আপনি চাইলে টাকা জমাতে পারবেন।
এই একাউন্টে সর্বনিম্ন পাঁচ বছরের জন্য খুলতে পারেন এবং একাউন্টে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য খুলতে পারবেন। এই একাউন্টের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয় একাউন্ট যে ব্যাক্তি ব্যক্তির মাসিক একটি নির্দিষ্ট পরিমান প্রদান করবেন এবং তার মূল অ্যাকাউন্টে জমা করা হবে।
একাউন্ট টাকা জমানো ক্ষেত্রে যে সুদের হার তা হলো ৪ থেকে ৯ শতাংশ।
পূবালী ব্যাংক শিক্ষা সঞ্চয় প্রকল্প
এছাড়াও পূবালী ব্যাংকের যে শিক্ষা সঞ্চয় প্রকল্প রয়েছে সেই প্রকল্পের মাধ্যমে আপনি টাকা জমা দিতে পারবেন এবং শিক্ষাক্ষেত্রে টাকাগুলো ব্যয় করতে পারবেন।
এটি মূলত এমন একটি ডিপিএস সিস্টেম যেখানে একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন থেকে ডিপিএস এর মাধ্যমে জমা করতে পারবেন। বিশেষ সুবিধার এই ডিপিএস সিস্টেম সকলের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।
এই একাউন্টে সর্বোচ্চ মেয়াদ কাল হতে পারে ১০ বছর। আপনি যদি অ্যাকাউন্ট খুলতে চান তাহলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য এই ডিপিএস একাউন্ট আপনি খুলতে পারবেন।
এই একাউন্টে জমাকৃত টাকা সুদের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১২% পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
পূবালী ব্যাংক ডিপিএস
আর এটি হলো মূলত পূবালী ব্যাংক ডিপিএস প্রকল্প সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আপনি যদি পূবালী ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান তাহলে তাদের অফিসে ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে আরো তথ্য জেনে নিতে পারেন।
আর আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইটের পূবালী ব্যাংক ডিপিএস সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান তাহলে আপনি কমেন্টে জানিয়ে দিন। আমরা খুব তাড়াতাড়ি পূবালী ব্যাংকের ডিপিএস সম্পর্কে আরও তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন