সিটি ব্যাংক গ্রাহক হিসেবে আপনি যদি সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনি সিটি ব্যাংক থেকে লোন উপভোগ করতে পারেন। মূলত অন্য ব্যাংকের মতো সিটি ব্যাংক আপনাদেরকে কাস্টোমাইজ সুবিধা দিয়ে থাকে।তবে সে সবার আগে এ সম্পর্কে সমস্ত বিস্তারিত জেনে নেওয়া খুবই দরকার। সিটি ব্যাংকের বিভিন্ন রকমের লোন সেবা রয়েছে এবং কোন কোন খাদ্যের জন্য আপনি এ লোন নিতে পারবেন এবং এর শতকরা কত পার্সেন্ট সুদ প্রদান করা হয় তা সমস্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে। এ পোস্টে সিটি ব্যাংকের সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এক নজরে সিটি ব্যাংকের মেইন টপিক গুলোঃ
- সিটি ব্যাংকের লোন এর প্রকারভেদ
- সিটি ব্যাংক অটো লোন
- লোন নেওয়ার ফিচারস
- লোন নেওয়ার যোগ্যতা
- সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন
- লোন নেয়ার ফিচারস
- সিটি ব্যাংক হোম লোন
- লোন নেয়ার ফিচারস
- লোন নেওয়ার যোগ্যতা
- সিটি ব্যাংক বাইক লোন
- লোন নেওয়ার ফিচারস
- লোন নেওয়ার যোগ্যতা
আমি আমার এই টেকনোলজির সাইটে বিভিন্ন রকমের ব্যাংকিং ইনফরমেশনের পোস্ট দিয়ে থাকি। যেখানে আপনি ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং ব্র্যাক ব্যাংক এশিয়া সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট কিভাবে খুলতে হয়, কিভাবে লোন নিতে হয় কিভাবে, ডিপিএস করতে হয় এই সম্পর্কে বিভিন্ন পোস্ট করেছি আপনারা যদি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনি নিচের পোস্ট গুলো দেখতে পারেন।
সিটি ব্যাংক লোন এর প্রকারভেদ
সিটি ব্যাংকের একজন গ্রাহক হিসেবে আপনি চাইলে বিভিন্ন রকমের কাজ সম্পাদনের জন্য সিটি ব্যাংক থেকে লোন সেবা নিতে পারবেন। সিটি ব্যাংক লোন নেওয়ার মোট ৪ টি প্রকারভেদ রয়েছে।
সিটি ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য যে সমস্ত খাট বা প্রকারভেদ রয়েছে সেগুলো মেনশন করা হল
- পার্সোনাল লোন
- হোম লোন
- অটো লোন
- বাইক লোন
মূলত,উল্লেখিত প্রত্যেকটি খাতের জন্য সিটি ব্যাংক লোন নিতে পারবেন। এবার তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে সমস্ত খাতে ঋণ নেওয়ার জন্য কি রকমের রিকোয়ারমেন্ট এবং অন্যান্য বিষয়াদি প্রয়োজন হবে।
অটো লোন নেওয়ার ফিচারস
আপনি সিটি ব্যাংকে সর্বনিম্ন তিন লক্ষ টাকা দিয়ে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে দিতে পারবেন।
এছাড়াও যানবাহন করার ক্ষেত্রে সর্বমোট টাকা আর ৫০% আপনি তাদের থেকে নিতে পারবেন।
লোন পরিশোধ করতে হবে সর্বনিম্ন বারো মাস থেকে সর্বোচ্চ ৭২ মাঝে মধ্যে।
এই লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকমের হিডেন চার্জ নেই।
সিটি ব্যাংক অটো লোন নেওয়ার যোগ্যতা
যে ব্যক্তি লোন নিতে চাইছে ব্যক্তির বয়স সর্বনিম্ন ২২ বছর থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
কমপক্ষে এক বছরের যে কোন ব্যবসা করার প্রাক্টিসিং এক্সপেরিয়ান থাকতে হবে
বিজনেসম্যান হয়ে থাকলো দুই বছরে কোন বিজনেস এর সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ দেখাতে হবে।
মাসের যাদের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকার চেয়ে বেশি তাদের জন্য এই সিটি ব্যাংক লোন প্রয়োজ্য।
কোনো পার্সোনাল গ্যারান্টার প্রয়োজন হবে না।
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেওয়ার ফিউচার
এছাড়াও আপনি যদি সিটি ব্যাংকে পার্সোনাল লোন নেওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজের কোন পারসোনাল কাজ সম্পন্ন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। সিটি ব্যাংকে পার্সোনাল লোন নেওয়ার যে সব ফিচারস রয়েছে সেগুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো।
যে কোন ব্যাক্তি সর্বনিম্ন এক লক্ষ টাকা শুরু করে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন।
সর্বনিম্ন বারো মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০ মাসের মধ্যে লোন পরিশোধ করতে হবে
কোন রকমের হিডেন চার্জ নেই।
কম্পিটিটিভ ইন্টারেস্ট রেট বিদ্যমান রয়েছে।
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেওয়ার যোগ্যতা
সিটি ব্যাংক পার্সোনাল লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির বয়স সীমা সর্বনিম্ন ১২ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
যেকোনো স্যালারি কাজ করে থাকলে সেই কাজের সেলারি কমপক্ষে এক বছরের ট্রিটমেন্ট থাকতে হবে।
যেকোনো কাজের জন্য দুই বছরের প্রাক্টিসিং এক্সপেরিয়েন্স থাকতে হবে।
বিজনেসম্যান হয়ে থাকলে কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সিটি ব্যাংক হোম লোন
আপনার যদি এ বাড়ির কাজ সম্পন্ন করার জন্য সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনি সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনি অনেক সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং নিয়মিত কার্যক্রম চালাতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক হোম লোন নেয়ার ফিচারস
সর্বনিম্ন পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ দুই কোটি টাকা লোন নেওয়া সম্ভব।
এক বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২৫ বছরের মধ্যে এ লোন পরিশোধ করতে হবে।
এ লোন নেয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে কম্পিটিটিভ ইন্টারেস্ট রেট।
সিটি ব্যাংক হোম লোন নেয়ার যোগ্যতা
যে ব্যক্তি এই লোন নিতে চায় সেই ব্যক্তির বয়স সীমা সর্বনিম্ন ২২ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
যেকোনো কাজের দক্ষতা কমপক্ষে তিন বছর হতে হবে তাও একটি প্রেক্টিস এক্সপেরিয়েন্স হতে হবে।
যে ব্যক্তি লোন নিয়ে যদি সরকারি চাকরিজীবী হয়ে থাকে তাহলে তার বেকন ৩০ হাজার টাকা হতে হবে।
যে কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত অবস্থায় থাকলে সেখানে তার বেতন ৫০ হাজার টাকা বেশি হতে হবে।
সিটি ব্যাংক বাইক লোন
আপনি যদি মোটর বাইক লোন নিতে চান বা কোন মোটর গ্যারেজ এর জন্য কোন কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আপনি যদি এ সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনি সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন।
সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার ফিচারস
যে কোন ব্যাক্তি সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা অব্দি লোন নিতে পারবেন।
এছাড়াও ফাইন্যান্সিয়াল কাজ করার জন্য বাইক ক্রয় করার ক্ষেত্রে বাইকের মোট মূল্যের ৮০% ব্যাংক থেকে নিতে পারবেন।
সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের মধ্যে এই লোন পরিশোধ করতে হবে।
১.৫% প্রসেসিং ফি প্রযোজ্য হবে।
সিটি ব্যাংক বাইক লোন নেওয়ার যোগ্যতা
এই লোন নেওয়ার জন্য আপনার বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে তাছাড়া আপনি লোন পাবেন না।
যে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে সেলারি পারসন হিসেবে এক বছর নিয়োজিত থাকতে হবে।
একজন বিজনেসম্যান ফ্রিল্যান্সার কিংবা অন্যান্য কাজের কর্মরত হিসেবে এক বছরে চাকরি দেখাতে হবে।
রাইড শেয়ারিং করার ক্ষেত্রে ছয় মাসের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
এছাড়াও আপনি যদি বিদেশি রেমিটেন্স হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ছয় মাসের বেতন পাওয়ার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
একজন বেতনভোগী কর্মচারীরাই ১২ হাজার টাকা ইনকাম থাকতে হবে।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম থাকতে হবে।
রাইট শেয়ার সার্ভিসম্যান হয়ে থাকলে মাসে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম থাকতে হবে।
বিদেশি হয়ে থাকলে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম থাকতে হবে।
আর উপরে উল্লেখিত রিকোয়ারমেন্ট যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে আপনি বাইক লোন সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন