বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার - Bkash Helpline Number

আমরা অনেকে আসি যারা বিকাশ ব্যবহার করে থাকি এবং বিকাশ একাউন্ট খুলে আবার অনেকে ব্যবসায় করে তাদেরকে আমরা বলি বিকাশ এজেন্ট। বিকাশ থাকার কারনে আমরা অনেক সুবিধা পাচ্ছি। আর যার কারনে আমাদের দেশ ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে।


বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার


আমাদের দেশে প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিকাশ চালু হচ্ছে যার কারনে আমরা সব জায়গায় আপদে বিপদ সব খানে টাকা পাঠাতে পারি আর বিশেষ করে বিকাশ অতি জনপ্রিয় হচ্ছে।


আজকে বিকাশের কয়েকটি টফিক নিয়ে আলোচনা করা হবে। নিচে টফিক গুলো দেওয়া হলোঃ

  • বিকাশ কি

  • বিকাশ একাউন্ট কেনো খুলবেন

  • বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম 

  • বিকাশে কি কি সুবিধা পাওয়া যায় 

  • বিকাশে কিভাবে টাকা সেন্ডমানি বা ক্যাশ আউট করা যায় 

  • বিকাশে কিভাবে পিন চেন্জ বা পরিবর্তন করবেন

  • বিকাশে কিভাবে টাকা পাওয়া যায় 

উল্লেখিত বিকাশের যে সব টফিক আসে সেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে তাই অনুরোধ থাকবে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বেন।


বিকাশ কি:

বিকাশ হচ্ছে একটি মোবাইল ব্যাংকিং। বিকাশ এর মাধ্যমে আপনে খুব সহজে এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গায় লেনদেন করতে পারবেন। আপনাকে দূরে কোথাও গিয়ে টাকা দিয়ে আসতে হবে না। আপনার যদি বিকাশ একাউন্ট করা থাকে তাহলে আপনে ঘরে বসে যেখানে খুশি সেখানে টাকা পাঠাতে পারবেন। বিকাশে মাধ্যমে আপনে আরো অনেক কাজ করতে পারবেন।  যেমন টাকা পাঠানো, টাকা উঠানো, বিদ্যুৎ বিল, ব্যাংক থেকে টাকা বিকাশে নিয়ে আনতে পারবেন, আপনার কোনো লোন থাকলে তা বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারবেন।


বিকাশ একাউন্ট কেনো খুলবেন:

আমরা অনেকে দেশের বাহিরে থাকি বা গ্রামের বাহিরে থাকি কিংবা দূরে থাকি। এ অবস্থায় আমরা সঠিক সময়ে সব জায়গায় টাকা পাঠাতে পারি না টাকা পাটাতে পারলেও অনেক খরচ আর পরিশ্রম করতে হয়। এতে আমাদের কাজের বা সময়ের দুটি অপশয় হয় যার কারনে আমরা বিরক্ত বোধ করি। আর আপনে যদি যে কোনো মোবাইল দিয়ে একটি বিকাশ একাউন্ট খুলে ব্যবহার করেন সেক্ষেত্রে আপনে যেখানে থাকেন না কেনো সেই জায়গায় থেকে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারবেন কোনো ঘামেলা ছাড়াই।


বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম:

বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য একটা ভোটার আইডি কার্ড লাগবে।যে কোনো একটা কারো ভোটার আইডি কার্ড হলেই হবে। নিজে নিজের বিকাশ একাউন্ট খুলতে চাইলে আপনাকে বিকাশ এপস ডাউনলোড করতে হবে। প্রথমে প্লে স্টোরে গিয়ে বিকাশ নামে সার্চ করলে বিকাশ এপস পেয়ে যাবেন এর পর ইন্ট্রল করে নিবেন। ইন্ট্রল করা হয়ে গেলে আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রার করে পিন বসিয়ে দিবেন। একাউন্ট খোলা সম্পূর্ণ করে নেওয়ার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যে আপনার একাউন্ট একট্রিভ হয়ে যাবে।



বিকাশে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে:

  • বিকাশে খুব দূত টাকা পাঠানো যায়

  • বিকাশে খুব দূত টাকা উঠানো যায় 

  • বিকাশে মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিল দিতে পারবেন 

  • ব্যাংক থেকে খুব দূত টাকা বিকাশে আনা যায়

  • বিকাশে মাধ্যমে আপনে লোন সুবিধাও পাবেন

উল্লেখিত আপনে এসব সুবিধা তো পাচ্ছেন আরো সুবিধা আসে যেগুলো আপনে নিজে নিজে দেখতে পারবেন।


বিকাশে কিভাবে টাকা সেন্ডমানি বা ক্যাশ আউট করা যায়:

বিকাশে টাকা সেন্ড মানি করবেন কিভাবে আপনার একাউন্টে যদি টাকা থাকে সেক্ষেত্রে আপনে টাকা সেন্ডমানি করতে পারবেন। সেন্ডমানি করা খুবিই সহজ যার একাউন্টে টাকা সেন্ডমানি করবেন তার একাউন্ট নামবার অথাত তার মোবাইল নামবার আপনাকে জানতে হবে। তার মোবাইল নামবার দেওয়ার পর টাকার অংক বসিয়ে দেওয়ার পর ওকে বাটনে ক্লিক করে দিলেই আপনাকে টাকা সেন্ডমানি হয়ে যাবে। 

এবার আসি টাকা ক্যাশ আউট করবেন কিভাবে এটা আরো বেশি সহজ যে কোনো দোকানো বা এজেন্ট ব্যাক্তির কাছে গিয়ে টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন তবে ক্যাশ আউট করার জন্য আপনার চার্জ লাগবে। ধরেন আপনে যদি ১০০০ টাকা ক্যাশ আউট করেন সেক্ষেত্রে আপনার চার্জ কাটবে ১৯ টাকা অথাত আপনার একাউন্টে ১০১৯ টাকা থাকতে হবে।  তার কম থাকলে কোনো সমস্যা নাই আপনে ইচ্ছে মতো টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন এটা আপনার ব্যাক্তিগত বিষয়।


বিকাশে কিভাবে পিন চেন্জ বা পরিবর্তন করা যায়:

অনেকে আসেন যারা ভুল বশত আপনারা বিকাশের পিন লক করে ফেলেন। যার কারনে আপনাদের পিন পরিবর্তন করতে হয় আর এই পিন পরিবর্তন জন্য অনেকে বিকাশ কাস্টমার সার্ভিসের ফোন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। বার অনেকে আসেন বিভিন্ন সমস্যা জন্য বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য বিকাশ কাস্টমারের কাছে ফোন দিয়ে থাকেন। কোন মাধ্যমে বিকাশ কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ করা যায়।


  • প্রথমে আপনে বিকাশ নামবারে কল করে সাহায্য জন্য বা তথ্য জানার জন্য কল করতে পারেন। বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের নামবার হচ্ছে ১৬২৪৭ এই নামবারের কল করে আপনে আপনার মতামত তাদের জানাতে পারবেন।

  • এর পর আপনে চাইলে বিকাশ লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে আপনে আপনার সমস্যার কথা বলতে পারবেন বা বিকাশের সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন তার জন্য আপনাকে বিকাশ লাইভে যেতে হবে।

  • এরপর হচ্ছে আপনে বিকাশ অফিসে গিয়ে আপনে সমস্যা বা তথ্য জানতে পারেন। আপনে আশেপাশে বিকাশ অফিস থাকলে আপনে খুব তাড়াতাড়ি সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।


কিভাবে বিকাশে টাকা পাওয়া যায়:

বিকাশে টাকা পাওয়া কয়েকটি উপায় আসে যেমনঃ

  • আপনে যদি নতুন বিকাশ একাউন্ট খুলেন তাহলে আপনে ৫০ টাকা বোনাস পাবেন।

  • আপনে যদি বিকাশ রেফার এর মাধ্যমে কাউকে আপনার রেফার দিয়ে একাউন্ট খুলে দেন তাহলে আপনে ১০০ টাকা বোনাস পাবেন ১ টা একাউন্ট করার জন্য। 

  • আবার আপনে যদি বিকাশে অতিরিক্ত লেনদেন করেন বা প্রতি মাসে বেশি বেশি টাকা ক্যাশ আউট,সেন্ডমানি,মোবাইল রিচার্জ ইত্যাদি লেনদেন করেন তাহলে আপনে বিকাম রিওয়াদ থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

  • আবার আপনে যদি বিকাশ এজেন্ট হয় থাকেন তাহলে আপনে বিকাশ এর লেনদেনের জন্য ভালো কমিশন পাবেন যার জন্য আপনে বিকামের থেকে টাকা ইনকাম করার এক বিশাল সুবিধা পাবেন।


উল্লেখিত সব তথ্যের বিকাশের থেকে জেনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই তথ্য যদি আপনে জেনে রাখেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনার কাজে আসবে। আর যদি কেউ না জেনে থাকে তাকে অবশ্যই জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এসব তথ্য আমাদের সকলের জানা দরকার। কারন দিন যত যাচ্ছে বিকাশের ব্যবহার তত বাড়ছে অতএব নিজে জানুন অপরকে জানিয়ে দিন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন