কোন ব্যাংকে টাকা রাখলে লাভ বেশি - কোথায় টাকা রাখলে লাভ বেশি

যদি আপনার মনে হয় আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত রাখতে পুত্র বা কন্যার বিবাহ উচ্চশিক্ষার জন্য এবং নিজের সোনালী স্বপ্ন পূরণ করার জন্য ইনভেস্ট অর্থাৎ বিনিয়োগ বা টাকা জমা করা জরুরি তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য।


কোথায় টাকা রাখলে লাভ বেশি


বর্তমানে আমাদের সামনে প্রচুর ক্ষেত্রে উন্মুক্ত যেখানে আমরা টাকা জমা করতে পারি। যেমন সড়ক বা কম্পানির মিক্সার বানান সরকারি বন্ড পোস্ট অফিসের বিভিন্ন প্রকল্প ব্যাংকের বিভিন্ন প্রকল্প সোনা- গয়নার বাড়িঘর ও জমি জায়গা বিভিন্ন পণ্য দ্রব্য। অর্থাৎ তেল-গ্যাস ইত্যাদিতে কোথায় ইনভেস্ট বা বিনিয়োগ করা দরকার। সাধারণত আমরা আমাদের টাকা কোনো ব্যাংক বা পোস্ট অফিসের ফিক্সড ডিপোজিট জমা করি। যদি এই পদ্ধতিতে টাকা জমা করার সবথেকে ভালো বলে মনে করেন তাহলে আর একবার নতুন ভাবে ভাবুন ফিক্স ডিপোজিট একটি বহু পরীক্ষিত নিরাপদ পদ্ধতি। 

কিন্তু এখানে সুদের হার অর্থাৎ ফেরত লাভ বেশ কম এত কম সুদের হারে যে ফেরত লাভ পাওয়া যায়। তার দ্বারা কি আপনার স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব না আপনার চাহিদা পূরণ হবে না কারণ আপনি যেটুকু হিসেবে পাবেন তা মুদ্রাস্ফীতির কারণ এ বর্ধিত মূল্য মিটাতেই চলে যাবে। মুদ্রাস্ফীতি আপনার পকেটের সম্পর্কে আপনার অজান্তেই ধ্বংস করে দেয় আসুন দেখে নেই কিভাবে মুদ্রাস্ফীতির কারণ আমাদের টাকা ধ্বংস হয়ে যায়।

ধরে নিন আজ থেকে তিন বছর আগে আপনি কলকাতার কোন একটি এলাকায় ৫০ লক্ষ টাকায় ৩ ফ্লাট কিনতে পারতেন। এখন তিন বছর পর ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে সেই একই জায়গায় কেবলমাত্র ১ ঘর পাবেন। অর্থাৎ আপনার টাকার মূল্য কমে গিয়েছে আর সেই কারণেই আপনার ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে প্রতিবছর গড়ে ৪.৫% মুদ্রাস্ফীতি হলে আপনার কাছে থাকা ১০,০০০ টাকার মূল্য পাঁচ বছর পর কমে হবে ৮০২৪ টাকা দশ বছর পর হবে ৬৪৩৯ টাকা ও ১৫ বছর পর কমে হবে ৫১৬৭ টাকার। 

অন্যভাবে বললে বলা যায় যে বাড়িটি আপনি আজকের দিনে ত্রিশ লক্ষ টাকায় কিনতে পারবেন আজ থেকে পনের বছর পর সেটা কম করে ৬০ লক্ষ টাকায় কিনতে হবে মনে রাখবেন মুদ্রাস্ফীতির হার এখানে মাত্র ৪.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যেতে পারে অর্থাৎ ৪.৫ এর থেকেও অনেক অনেক বেশি হতে পারে সেক্ষেত্রে আপনার বাড়ি কেনার জন্য খরচ অনেক বৃদ্ধি পাবে।

কিন্তু খারাপ লাগবে বাজেটে টাকা জমিয়ে আপনি কি মুদ্রাস্ফীতি কে হারাতে পারবেন ফিক্স ডিপোজিটে ১০% হারে সুদ দেবে সেটা দারুণ ব্যাপার বলে মনে হয়। কিন্তু আদৌ কি সেটা দারুণ মুদ্রাস্ফীতি যদি ৭% হয় আপনার ফেরত লাভের হার হবে ১০ শতাংশ বিনিয়োগ ৭ শতাংশ অর্থাৎ আপনার প্রকৃত লাভ হবে মাত্র ৩% করযোগ্য আয় এর উপর ট্যাক্স দিতে হবে। অর্থাৎ টাকার পরিমাণ আরো কমে যাবে এবার দেখা যাক কিভাবে ফেরত লাভ এর গতি বৃদ্ধি করা যায় ১৬০ এর লিঙ্ক নামবার ওয়ান বিনিয়োগ থেকে পাওয়া সুদ। 

আবার বিনিয়োগ করুন ফিক্স ডিপোজিট থেকে প্রাপ্ত হিসেবে পাওয়া অর্থ পুনরায় সঞ্চয় করুন এর ফলে আপনার সঞ্চার লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ আপনি পাওয়ার অফ কম্পৌন্দিং এর সুবিধা পাবেন নাম্বার টু মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারে বিনিয়োগ করুন মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করলে গড়ে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ ফেরত পাওয়া যেতে পারে। তবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ ঝুঁকি সাপেক্ষ কিন্তু সম্পদ বৃদ্ধি করতে হলে এই ঝুঁকি অঙ্ক করতে হবে। অর্থাৎ সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্লান এর মাধ্যমে এর মাধ্যমে টাকা থাকলে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমে যেতে পারে এবং আপনার সম্পদ বৃদ ্ধির হার বৃদ্ধি পাবে।

নাম্বার থ্রি (real-estate) অর্থাৎ জমি জায়গা বাড়ি ফ্ল্যাট ইত্যাদি কিনে রাখতে পারেন যা পরবর্তীকালে বিক্রি করলে মোটা অংকের লাভ হতে পারে। এটাও বাজার গত ঝুঁকি সাপেক্ষ তবে ফিক্স ডিপোজিটের থেকে এখানে রিটার্ন বেশি পাওয়া যায় নাম্বার ফোর কমোডিটিস অর্থাৎ এল ইত্যাদি ব্যবহার যোগ্য সম্পদের ইনভেস্ট করা যায় সোনা কিনে রাখলেও খুব ভালো রিটার্ন বা ফেরত পাওয়া যেতে পারে।

এতক্ষণ আলোচনা করে এটা বোঝা যায় যে প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব চাহিদা ও ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার উপর বিনিয়োগের স্থান নির্ভর করে কম বয়সে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায় এছাড়া ফিনান্সিয়াল এডুকেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই বলা যায় আপনার ইনভেস্টমেন্ট হবে ফিক্স ডিপোজিট শেয়ার বিজনেস ফান্ড রিয়েল এস্টেট ও সোনা একটি আদর্শ মিশ্রণ এবং কোনটিতে কতটা ইনভেস্ট করবেন সেটা আপনি ভাবনা-চিন্তা করে ঠিক করুন প্রয়োজনে এক্সপার্ট অর্থাৎ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।


কোথায় বিনিয়োগ করবেন আপনার টাকা

প্রথমেই আসুন জেনে নেই কিছু প্রচলিত সঞ্চয় বিনিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রাইজবন্ড বাংলাদেশের সব সময়ই সঞ্চয় এর একটি জনপ্রিয় উপকরণ হচ্ছে প্রাইজবন্ড। সর্বপ্রথম ১০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ছাড়া হাজার ১৯৭৪ সালে তার প্রায় ১১ বছর পর ৫০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ৫০ হাজার ১৯৯৫ সালে বন্ধ করা হয় ১০ টাকার প্রাইজবন্ডের ড্র এবং একই বছর থেকে চালু করা হয় ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড।

বর্তমানে কেবল ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড চালু আছে এর রয়েছে ৪৩৩৩ প্রাইজবন্ডের বিপরীতে কোন মুনাফা দেওয়া হয় না। তবে প্রতি তিন মাস পর পর ড্র অনুষ্ঠিত হয় এর বিপরীতে প্রতিরোধের জন্য ছিচল্লিশ টি পুরস্কার হয়েছে। যার মূল্যমান ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রথম পুরস্কার একটি ৬ লাখ টাকা দ্বিতীয় পুরস্কার একটি তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা তৃতীয় পুরস্কার দুটি এক লাখ টাকা করে। শুধু তো পুরস্কার দুটি ৫০ হাজার টাকা করে এবং পঞ্চম পুরস্কার ৪০ কেজি ১০ হাজার টাকা করে মোট ১৯৭৪ কি পুরস্কার ভাগ্যক্রমে পুরস্কার পেলে মূল বনসহ নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে বিজয়ীকে পেওনারের মাধ্যমে পুরস্কারের টাকা দেয়া হয়। তবে পুরস্কারের টাকার উপর কর দিতে হয় ২০% যেকোন ব্যাংক সঞ্চয় ব্যুরো অফিস থেকে যে কোন সময় প্রাইজ বন্ড কেনা যায়।

সঞ্চয় পত্র সরকারি খাতে রয়েছে সঞ্চয় পত্রের মাধ্যমে বিনিয়োগের সুবিধা এসব সঞ্চয় পত্র গুলোতে বিনিয়োগ করেও মেয়াদ শেষে ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয় পত্র রয়েছে এগুলো হচ্ছে ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র যেখানে মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ ৫ বছর মেয়াদী পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১.৫২ তিন বছর মেয়াদী তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র করার ১.০৪ পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা ১.৭% হয়।

তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মাসিক ভিত্তিতে তোলা যায় 5 বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ টাকা ও যমুনা নামে ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়।

পরিবার সঞ্চয়পত্র একক নামে ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র একক নামে ৩০ লাখ অযুগ্ন নামে ৬০ লাখ পর্যন্ত কেনা যায় পেনশনার সঞ্চয়পত্রের ক্ষয়সীমা একক নামে ৫০ লাখ টাকা সঞ্চয় পত্রের পরিবর্তনীয় সর্বশেষ তথ্যের জন্য পোস্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।

বন বর্তমানে বাজারে মোর্চার মেয়াদের বন রয়েছে এগুলো হলো পাঁচ বছর ১০ বছর ১৫ বছর ২০ বছর মেয়াদি বন ট্রেজারি বন্ডের প্রত্যেকটি অভিহিত মূল্য ১ লক্ষ টাকা পুজি বাজার বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিলাম থেকে এসব বন্ড কেনা যায়। এসব বন্ডে বিনিয়োগ করে বছরে ৭ থেকে ১২ শতাংশ হারে মুনাফা পাওয়া যায়।

ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের মেয়াদী হিসাব রয়েছে এগুলো বিনিয়োগ করে বছরে ৬ থেকে ৮ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায় আউটসোর্সিং এবার আসুন টাকা বিনিয়োগের অন্য উপায়ে বর্তমানে তরুণরা ছুটছে নিজেদের কিছু করার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে অর্থ উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম। এর জন্য সবার আগে যে উপায়ে সবার মাথা থেকে আসে তা হলো ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে বেশ কিছু আইটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা নির্দিষ্ট কিছু ফি'র বিনিময়ে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শিখায়। 

আপনি এই কাজ শেখার বিনিময় অর্থপ্রদান তাকে এক ধরনের বিনিয়োগ ভাবতে পারেন এরপর সেই কাজ শেখার পর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে যে অর্থ পাবে সেটা কে ভাবতে পারেন আপনার লভ্যাংশ যারা টাকা বিনিয়োগ করে কিছু শিখতে চান। তাদের আউটসোর্সিংয়ে বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে কোন কোর্স করে নিজেই আউটসোর্সিং শুরু করতে পারেন। আমাদের দেশে কোর্সের অভাব নেই কোচিং সেন্টার অনেক আপনি ঘুরে ঘুরে নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কোনটা জন্য ভালো লাগে বা আপনি করতে পারবেন কাপড়ের ব্যবসা সিজন অনুসারে বিভিন্ন ধরনের কাপড়ের ব্যবসা থে বিনিয়োগে বেশ ভালো লাভ আছে। 

বিশেষ কর লেডিস গারমেন্ট গুলো বেশ ভালো বিক্রি হয় সারা বছরই প্রথম এদেশের কোন পাইকারি বাজার থেকে পাইকারি হারে বেশ কিছু কাপড় নিয়ে পড়ে সেগুলো একটু বেশি দামে খুচরা বিক্রি করতে পারেন। একটু বেশি লাভ চাইলে আনতে পারেন পাশের দেশ ভারত থেকে পণ্য যদি বাজার ধরতে পারেন তবে ভালো কোন মার্কেটে খুলে ফেলতে পারেন নিজস্ব শোরুম। আর যদি আপনার মধ্যে ডিজাইন নিয়ে ভালো ধারণা থাকে তবে বানাতে পারেন নিজের ডিজাইন অনুসারে কাপড় ছোটখাটো একটা নিজস্ব গার্মেন্টস যাকে বলে এছাড়া করতে পারেন আসবাবপত্র (electronics-gadgets) অন্যান্য যেকোনো ধরনের পণ্যের ব্যবসা।

হোটেল আরেকটি চমৎকার বিনিয়োগ ক্ষেত্র হলো হোটেল পর্যটন শিল্পের বিকাশের সাথে সাথে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে গড়ে উঠেছে। অসাধারণ সব হোটেল বাড়ি তোর নিজের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ থাকলে কোন পর্যন্ত স্থানে গড়ে তুলতে পারেন নিজের একটি ছবি আঁকা সম্ভব না হলে যোগাড় করে নিন পার্টনার। অনেক পর্যটন এলাকাতেই হোটেল মালিক কর্তৃপক্ষ ব্যবসার অংশীদার খুঁজে থাকেন চোখ কান খোলা রাখুন এবং সুযোগ বুঝে বিনিয়োগ করে হয়ে যান সফল।

জমি কেনা জমিতে বিনিয়োগের পূর্ব শর্ত হল বিশাল মদন যারা অল্প টাকা বিনিয়োগ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আছে উপায় সে ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজন মিলে টাকা জমাতে পারেন। জমিকে অনেকে বিনিয়োগের শ্রেষ্ঠ ক্ষেত্র মনে করেন এর পিছনে যৌক্তিক কারণও আছে জমির দাম সাধারণত কমেনা এতে লাভ না হলেও আপনার ক্ষতি হবে না যদি কেউ চান জমি কিনতে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন জমির মালিক কয়জন বিশেষ করে একাধিক যাদের আছে তাদের জমি কেনার পর অনেক ঝামেলা হতে পারে। তাই কেনার আগে স্বপক্ষে সম্মতি নিয়ে নিবেন। এছাড়া জমি কেনার কিছু সাধারন সমস্যাও রয়েছে এর মধ্যে একটি হলো জমি দখল জমি দখলে রাতে আপনার কাছে বিক্রি করে দিতে পারে। এতে পরবর্তীতে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তাই জমি কেনার আগে খেয়াল করুন জমির কোন দাবিদার আছে কিনা।

সবজি চাষ করে বড়লোক হতে না পারলেও নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাজার থেকে ভালো কিছু দান তুলতে পারবেন। যদিও সবজি ব্যবসা নতুনদের জন্য নয় কিন্তু কোথাও তো শুরু করতে হবে আপনি যদি এই ব্যবসা করে টাকা লস করতে না চান তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ কারো কাছে শুনে নিতে পারেন। ফেসবুকে অনেক গ্রুপ আছে কৃষিপণ্য সংক্রান্ত কেউ না থাকলে সেখানে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

অনলাইন বিজনেস আজকাল ফেসবুকে ঢুকলেই দেখি শুধু মিষ্টি বিজ্ঞাপন একবার মিষ্টি কিনে ছিলাম বলে ফেসবুক শুধু আমাকে বৃষ্টির বিজ্ঞাপন দেখা মিষ্টি এত বিজ্ঞাপন এর কারণ হলো দেশব্যাপী উদ্যোক্তারা জানান এলাকার বিখ্যাত মিষ্টি সমূহ অনলাইনে বিক্রি করছে বুঝি অনেক কম লাগে। কারণ প্রোডাক্ট আপনার না আপনি অর্ডার পেলে শুধু দোকান থেকে কিনে কুরিয়ার করে দিবেন বিস্কুট মধুর নারিকেলের নাড়ু গরুর দুধ হাতে ভাজা মুড়ি অনেক কিছুর ব্যবসায়ী করতে পারেন। 

অনলাইনে দেশব্যাপী নতুন উদ্যোক্তাদের যে জোয়ার শুরু হয়েছে তাতে আপনিও যোগ দিতে পারেন অর্গানিক শম্পু হোমমেড সেরেলাক খেজুরের গুড় আম লিচু গরম মসলা চা পাতা জামা কাপড় কাচার কাঠের তৈরি জিনিসপত্র জানালার পর্দা বিছানার চাদর নদীর মাছ এসবে বিক্রি করতে পারেন। আপনি অনলাইনে এছাড়াও আপনি মাঝারি বিনিয়োগে ফার্মেসি ফাস্টফুডের দোকান ইনস্টল কাপড়ের দোকান গেজেট ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ তাই না বুঝে ঝোঁকের বশে বিনিয়োগ করবেন না এবার আমরা জানবো কিভাবে নিজের বিনিয়োগকে ঝুঁকিমুক্ত রাখবেন।

জীবনের সব কিছুতেই সামান্য ঝুঁকি থাকে ঝুঁকিবিহীন জীবন কল্পনা করা যায় না। তবে বিনিয়োগের শুরুতে যাচাই বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ 2014 যদি বিনিয়োগ'-এর সাথে অন্য কোন ব্যক্তি জড়িত থাকে। তবে ওই ব্যক্তি সততা আর নিষ্ঠা না থাকলে আপনার বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। তাই অসৎ ব্যক্তি লোভনীয় কথার ফাঁদে না পড়ে নিজের বিনিয়োগ নিরাপদ রাখুন কারণ শব্দটি আপনার লাভ না করলেও ক্ষতি করবে না। ফেসবুকের কল্যাণে মানুষ এখন বিভিন্ন বিষয়ে জানতে পারছে যা অন্যথায় জানা সম্ভব হতো না। তাই আপনি যদি বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিয়ে আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে শিখতে চান তবে শেখার অনেক সুযোগ আছে। আপনি চাইলে অনেকের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন যেন ভবিষ্যতে কোন দরকার হলে তাদের সাহায্য পেতে পারেন 

অর্থাৎ না জেনে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন তাই জেনে মাঠে নামুন তার আগে নয় তার আরও একটি বিখ্যাত উক্তি হলো কখনো দুই পা দিয়ে নদীর গভীরতা মাপতে যাবেন না নদীর গভীরতা শুধু এক পা দিয়ে মাপা উচিত তাই নয়। অনেকেই আছেন লোভে পড়ে যে টাকাটা আপনার জীবন ধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেটাও বিনয়োগ করে বসেন এরপর দরকার এ জিনিসটা কেনার মত টাকা থাকে না। আপনি যদি কোন ব্যবসায় নামতে চান আর ব্যবসা সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে তবে বর্তমানের উৎপত্তি হয়েছে পাশাপাশি সীমিত আকারে ব্যবসায়ী নামা উচিত। এতে নদীর গভীরতা মাপা যায় আর যদি বেকার হয় তবে কারো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে ওই ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া ভাল এতে শেখার পাশাপাশি নিজের কিছু যোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি হবে। পোস্টি পড়ার পর আপনার যদি ভালো লাগে আমাদের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন